ফেনীর ছাগলনাইয়ার সীমান্তবর্তী এক বাংলাদেশিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে এমন সংবাদে খবর নিতে গিয়ে আরও ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ।)
সোমবার(০৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯নং পিলারসংলগ্ন পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে হঠাৎ পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকার এক বাংলাদেশিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে-এমন গুঞ্জন শুনে স্থানীয়রা খবর নিতে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছাকাছি যায়। তখন বিএসএফ এগিয়ে এসে বাংলাদেশিদের ধাওয়া শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়।
যাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে তারা হলেন- পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন (১৯), রাইসুল ইসলাম (১৯), সামিন (৪০), হারুন (২৩), লিটন (৩০), মাঈন উদ্দিন (২০), রাধানগর এলাকার মহসিন (২৫), কাজী রিপন (৪০), তাজুল ইসলাম সাকিল (২২), হানিফ (৩৫), আবুল হাসান (৩০), ইমরান (২২), রুবেল (২৮), জাফর ইমাম মজুমদার (৪০), মো. ওবায়দুল হক (৪৪), জামাল উদ্দিন (৪০), আরিফ হোসেন (২৪), করিম (২০), ছাগলনাইয়া এলাকার মটুয়া এলাকার খোরশেদ (৩৮), আজাদ হোসেন (২৫), মাহিম (২৫), হারুন (৩২) ও ইমাম হোসেন (২২)।
ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, সোমবার রাতের ঘটনায় মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মাঝে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে চোরাকারবারির অভিযোগে ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএসএফ। বৈঠকে আটককৃতদের একটি তালিকা বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আটক বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র আমাদের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে আমরাও আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করব।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।